ছাত্রদলের কেউ আমাদের সাথে ছবি তুললেই ছাত্রলীগ নয়: ইব্রাহিম ফরাজী
রিসাত রহমান, জবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: সোমবার, ৭ নভেম্বর, ২০২২, ৯:২৯ এএম
|
![]() দীর্ঘ ৪ মাস জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কার্যক্রম স্থগিত থাকায় সংগঠনটি মুখ থুবরে পড়েছিল। শনিবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জবি ছাত্রলীগের স্থগিত আদেশ তুলে নিলে ফের চাঙ্গা হয় শাখা সংগঠনটি। ওই রাতেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অক্ষুন্ন রাখার প্রত্যয় নিয়ে মিছিল করে নেতাকর্মীরা। কমিটির পরবর্তী কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে জবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইব্রাহিম ফরাজীর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন জবি রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা স্টেট ডট কমের জবি প্রতিনিধি রিসাত রহমান স্বচ্ছ। ঢাকা স্টেট: আপনাদের স্হগিত কমিটি পুনর্বহালে আপনার অনুভূতি কি ? ইব্রাহিম ফরাজী: আমাদের ছাত্রলীগের একমাত্র অভিভাবক দেশনেত্রী শেখ হাসিনা। জননেত্রী শেখ হাসিনা কোনো কারণে আমাদের কমিটি স্থগিত করেছিলেন। আবার যখন তিনি সময় মত নির্দেশ দিয়েছেন তখন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রেসিডেন্ট, সেক্রেটারি আমাদের কমিটি পুনর্বহাল করেছে। এ জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং সংগ্রামী সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় ভাই ও লেখক ভট্টাচার্য দাদার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। ঢাকা স্টেট: দীর্ঘ চার মাস কমিটি স্থগিত ছিল। তেমন কোন কার্যক্রম ছিল না। এখন এই সংগঠন গতিশীল করতে আপনাদের পরবর্তী পরিকল্পনা কী? ইব্রাহিম ফরাজী: সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনকে সামনে রেখে আমাদের দলের পরিচিত নেতাদের, কর্মীদের (যারা অনুপ্রবেশকারী না) তাদের নিয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি শীঘ্রই করার চিন্তাভাবনা করতেছি। ঢাকা স্টেট: কবে নাগাদ পূর্ণাঙ্গ কমিটি হতে পারে? ইব্রাহিম ফরাজী: আমরা যত দ্রুত সম্ভব পূর্ণাঙ্গ করার চেষ্ট করছি। নির্দিষ্ট কোন দিনক্ষন নেই । যে কোন দিন হতে পারে। তবে অতি দ্রুত দেওয়ার চেষ্টা করবো। এখানে যাচাই-বাছাইয়ের ব্যাপার থাকে, সামনে নির্বাচন। অনেকে আমাদের উপর ভর করে। আমরা তো সবাইকে চিনি না। এজন্য যাচাই-বাছাই করছি। ঢাকা স্টেট: কিছুদিন আগে ছাত্রদলের কমিটি দিয়েছে। কমিটিতে দেখা গেছে ছাত্রলীগের অনেক কর্মী সেখানে পোস্টেড। এ বিষয়টাকে কীভাবে দেখছেন? ইব্রাহিম ফরাজী: ১৫/১৬ ব্যাচের যারা তারা আমাদের সাথে এসে একটা ছবি তুলতে পারে। একটা প্রোগ্রামে বুঝে না বুঝে যেতে পারে বা একটা আশ্রায়ের জন্য এসে ছাত্রলীগ করে। কিন্তু তার মূল আদর্শ তো ছাত্রদল। সে চিন্তা করছে নতুন কমিটিতে ঢুকে গেছে। ছাত্রলীগ তাদেরকে বলা যায় না। তাদেরকে অনুপ্রবেশকারী বলা যায়। ছাত্রলীগ হলে তো এটা করতো না। ঢাকা স্টেট: ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেওয়ার দিন ছাত্রদলের সভাপতি আসলাম ছাত্রলীগকে জঙ্গী সংগঠন হিসেবে মন্তব্য করেছে। এই বিষয়ে ছাত্রলীগ থেকে কোনো প্রতিবাদ দেখা যায় নি কেন? ইব্রাহিম ফরাজী: আসলে আমাদের কমিটির কার্যক্রম তো স্থগিত ছিল। এজন্য আমরা কোনো ধরণের প্রতিবাদ বা কোনো কার্যক্রম করার সুযোগ হয়নি। তবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এদেশ গড়ার লগ্ন থেকে শুরু করে সেই ১৯৫২ সাল থেকে প্রত্যেকটা আন্দোলন সংগ্রামেই নেতৃত্ব দিয়েছে। অতএব কারা জঙ্গী, কারা দেশ গঠনের কাজ করে তা বাংলাদেশের মানুষ ভালো করেই জানে। বিএনপি, জামায়াত, শিবির এরা সকলেই জঙ্গী। এটা বাংলার মানুষ ভালোভাবে জানে। কারন এরা মানুষ পুড়িয়েছে, এরা এখনও পোড়াবে। এরা ককটেল মেরে মানুষ পোড়ায়, পেট্রোল বোমা মারে, এটা সবাই ভালোভাবেই জানে। আর ছাত্রলীগ যে মানুষের পাশে থাইকা যেকোনো দুর্বিপাকে মানুষের পাশে থেকে মানুষের সহযোগিতা করে এটা বাংলার মানুষ ভালোভাবেই জানে। অতএব তারা কি বলছে তাতে আমাদের কিছু আসে যায় না।তবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নিয়ে যদি কেউ ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্য দেয় তাহলে তার দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে। ঢাকা স্টেট: ধন্যবাদ আপনাকে। ইব্রাহিম ফরাজী: ধন্যবাদ আপনাকে, ধন্যবাদ ঢাকা স্টেটকে। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। ডিএস/ টিএইচ |