হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন স্বাস্থ্যের ডিজি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ পিএম
|
![]() দেশে কারা হাসপাতালগুলোতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসক নিয়োগের নির্দেশনা বাস্তবায়ন না করায় হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চে লিখিতভাবে ক্ষমা চান তিনি। গত ১৭ জানুয়ারি দেশের কারাগারগুলোতে শূন্যপদে ৪৮ জন চিকিৎসক নিয়োগের নির্দেশনা বাস্তবায়ন না করায় তার ব্যাখ্যা দিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে তলব করেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার তাকে সশরীরে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। ওই দিন আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. জে আর খান রবিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। আইনজীবী জে আর খান রবিন বলেন, গত ১৩ ডিসেম্বর হাইকোর্ট কারাগারগুলোতে শূন্যপদে ৪৮ জন চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। ৭ জানুয়ারির মধ্যে নিয়োগ দিতে বলেছিলেন। কিন্তু এখনও শূন্যপদে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এ কারণে আদালত তাকে তলব করেছেন। উল্লেখ, গত ১৩ ডিসেম্বর দেশের কারাগারগুলোতে শূন্যপদে ৪৮ জন চিকিৎসক নিয়োগের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। স্বাস্থ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব ও কারা কর্তৃপক্ষকে আগামী ৭ জানুয়ারির মধ্যে এই আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়। বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। ২০২০ সালের ১৪ জানুয়ারি দেশে কারাবন্দিদের চিকিৎসার জন্য কারা হাসপাতালগুলোতে কত চিকিৎসক প্রয়োজন তা জানাতে কারা কর্তৃপক্ষের প্রতি নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে চিকিৎসক নিয়োগের বিধিমালা চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত নিয়োগের ক্ষেত্রে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তাও জানতে চাওয়া হয়েছিল। পরে কারা কর্তৃপক্ষ ওই বছরের ২৯ জানুয়ারি একটি প্রতিবেদন দিয়ে আদালতকে জানান, কারাগারের হাসপাতালগুলোতে মোট ২৪ জন চিকিৎসক রয়েছেন। যদিও হাসপাতাল অনুসারে চিকিৎসক প্রয়োজন ১৪১ জন। পরে বাকি ১১৭ জনকে নিয়োগ দেয়া হবে। এর পরপর আরও চিকিৎসক নিয়োগ দেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ওই নিয়োগের পরে সেখানে মোট চিকিৎসকের সংখ্যা দাঁড়ায় ১১২। কিন্তু এর মধ্যে নিয়োগ পাওয়া চিকিৎসকদের প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ পায়। চিকিৎসক নিয়োগের পর তা প্রত্যাহার করে নেয়ার কারণ জানতে চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন আইনজীবী জেআর খান রবিন। তার পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ১ নভেম্বর বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন হাইকোর্ট। ডিএস/এআই |