৬ আসনের উপনির্বাচনে থাকছে না সিসি ক্যামেরা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: সোমবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০২৩, ৫:১৫ পিএম
|
![]() বিএনপির ছেড়ে দেওয়া ছয়টি আসনের উপনির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার হবে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন। সোমবার (৩০ জানুয়ারি) আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন ভবনে ইসি রাশেদা সুলতানা এ তথ্য জানান। প্রথমবারে মতো আপনাদের কমিশন সিসি ক্যামেরা ছাড়া নির্বাচন করছেন, এতে তুলনামূলক চিত্র পাওয়া যাবে কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সিসি ক্যামেরা ছাড়া কী হয়, এটাও একটা তুলনামূলক পরীক্ষা হতে পারে, যে কী ধরনের রেজাল্ট আসে। বিএনপির এমপিদের পদত্যাগে শূন্য ঘোষিত ৬টি আসনে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এগুলো হলো- ঠাকুরগাঁও-৩, বগুড়া-৪ ও ৬, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ ও ৩ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিসি ক্যামেরার ব্যবহার প্রসঙ্গে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, সিসি ক্যামেরা করব, কি করব না সেই সিদ্ধান্ত নেইনি। আইনে সিসি ক্যামেরার কথা বলা নেই। আমরা ভাবলাম করে দেখিনা কী হয়, তাই ব্যবহার করেছি। এছাড়া সংলাপের সময় বিভিন্ন মহল থেকে সিসি ক্যামেরা ব্যবহারের সুপারিশও ছিল। রাশেদা সুলতানা বলেন, ইতোমধ্যে সকাল সাড়ে ৮টায় উপ-নির্বাচনের প্রচার শেষ হয়েছে। ব্যালটে না, ৬াট আসনেই ভোটগ্রহণ করা হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। এজন্য যে পরিমাণ দরকার তার দেড়গুণ মেশিন দেওয়া হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীও পর্যাপ্ত মোতায়েন করা হয়েছে। ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন, সেজন্য যা যা করা দরকার আমরা সব আয়োজন করেছি। যতগুলো দফতর আছে সেগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করা হচ্ছে। সিসি ক্যামেরা যখন ছিল না তখনো কিন্তু ভাল ভাল নির্বাচন হয়েছে। আন্তরিকতা ও সততা নিয়ে কাজ করতে পারাটা একটা বড় শক্তি। আমি নিজে চাঁপাইনবাবগঞ্জ গেলাম, বগুড়া-২ আসনে গিয়েছি, ঠাঁকুরগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনার ব্রি.জে (অব.) আহসান সাহেব গেলেন। আমাদের দুই জনেরই পর্যবেক্ষণ হচ্ছে একটা সুন্দর, শক্ত সহাবস্থান, পারস্পরিক শ্রদ্ধা দেখেছি। মাঠ প্রশাসন বলেছে আপনারা চিন্তা করবেন না। কমিশন যেভাবে আমাদের নির্দেশনা দেবেন, আমরা সেভাবেই নিরপেক্ষ একটা সুন্দর নির্বাচন করব। সাবেক এই জেলা জজ বলেন, আমাদের কেবল নির্বাচন কমর্মকর্তা নিয়ে কাজ, তা নয়। সাংবাদিকদের নিয়েও আমরা কাজ করি। আপনারাও যদি একটু সচেতন থাকেন। সবার হাতে মোবাইল। তথ্য পাওয়াটা বোধ হয় কঠিন না। তথ্য পেলে সেটা যদি নির্ভরযোগ্য হয় আমরা যে কোনো সিদ্ধান্ত হয়তো নিতেই পারি। ক্ষমতা তো দেওয়াই আছে। ৩০০ আসেনর সিসি ক্যামেরার ম্যানেজমেন্ট, বাজেট এই নিয়ে আলোচনা করে আসছি। করতে পারব কিনা এটা নিয়ে এখনই বলতে পারবো না। কত বাজেট আনতে পারব, কী পদ্ধতিতে যাবে এমন না জেনে আসলে বলা যাবে না। এখনো আমরা মনে করছি যে সিসি ক্যামেরা হলে ভাল হয়। আমরা ভালটার দিকেই যেতে চাইব। তবে যেহেতু আর্থিক সামর্থ একটা বড় জিনিস। তাই কমিশন চাইলেই পারবে না। পরিবেশ, পরিস্থিতি অনুকুলে থাকলে দেব। আমাদের শতভাগ ইচ্ছা আছে। ভোট ভাল করার জন্য যা যা দরকার সবই আমরা করতে চাই। ডিএস/এআই |