চবি উপাচার্যের কার্যালয় ভাঙচুর-শাটল অবরোধ ছাত্রলীগের
দোস্ত মোহাম্মদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশ: সোমবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০২৩, ৮:০৫ পিএম
|
![]() চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে(চবি) শিক্ষক প্রার্থী ছাত্রলীগ নেতাকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ না দেওয়ায়, উপাচার্যের কার্যালয়ে ভাঙচুর চালিয়েছে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এছাড়া তারা শাটল ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেন। সোমবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে প্রশাসনিক ভবনে এ ঘটনা ঘটে। এসময় বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনে শহরমুখী সাড়ে পাঁচটার ট্রেনের চাবি নিয়ে যায় ছাত্রলীগ কর্মীরা। জানা যায়, এদিন উপাচার্যের সভাকক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিভিন্ন বিভাগের বেশ কয়েকজনকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। এর মধ্যে মেরিন সায়েন্স বিভাগে প্রার্থী ছিলেন ওশানোগ্রাফি বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাইয়ান আহমেদ। তাকে নিয়োগ না দিয়ে অন্য কাউকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে শাখা ছাত্রলীগের একাকার গ্রুপের নেতাকর্মীরা উপাচার্যের কার্যালয়ে ভাঙচুর চালান। এসময় তারা বেশ কিছু কাপ পিরিচ ও কার্যালয়ের বাইরের ফুলের টব ভাঙচুর করেন। ![]() এ বিষয়ে চবি শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও একাকার গ্রুপের নেতা মইনুল ইসলাম রাসেল বলেন, আজকে সিন্ডিকেটে জামাত শিবিরের রাজনীতি ও সরকার বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িতদেরকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বাকিদের চেয়ে বেশি যোগ্যতা থাকা সত্বেও ছাত্রলীগের একনিষ্ঠ কর্মী এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের রিসেন্ট কমিটির সদস্য রাইয়ান আহমেদকে নিয়োগ দেয়া হয়নি। তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রথম দাবি রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড ও জামাত শিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িতদের শিক্ষক থেকে বাদ দিতে হবে। আর দ্বিতীয় দাবি হল ছাত্রলীগের একনিষ্ঠ কর্মী রাইয়ান আহমেদকে মেরিন সায়েন্স বিভাগের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিতে হবে। কার্যালয়ে ভাঙচুরের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরিণ আখতার কোনো মন্তব্য করতে রাজি হন নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভুঁইয়া বলেন, যারা এ ধরণের ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে। শাটল ট্রেন আটকে দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি জেনেছি। তাদের সাথে আমরা কথা বলার চেষ্টা করতেছি। ডিএস/ এম আই |