শনিবার ১ এপ্রিল ২০২৩
১৮ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
 
শাকিব খানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে মুখ খুলেছেন নিপুণ
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৩, ১:৩৩ পিএম
শাকিব খানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ প্রসঙ্গে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ আক্তার বলেছেন, শাকিব খানের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগপত্র পেয়েছি আমরা। বিষয়টি খুবই সেনসেটিভ। এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিক কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয়।

ঢালিউড নায়ক শাকিব খানের বিরুদ্ধে অসদাচরণ ও ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার প্রযোজক রহমত উল্লাহ। 
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিসহ চারটি সংগঠনে লিখিত অভিযোগ করেছেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে নিপুণ বলেছেন, প্রযোজক রহমত উল্লাহ চারটি সংগঠনে অভিযোগ জানিয়েছেন। অভিযোগ তো যে কেউ করতে পারেন। আগে আমরা দেখব বিষয়টি কী। অভিযোগকারী এবং শাকিব খান —দু’জনের সঙ্গেই কথা বলব আমরা। অভিযোগের ব্যাপারে তদন্ত করে স্পষ্ট হয়ে তবেই আমরা সিদ্ধান্ত নেব, কী করা যায়।

এ নায়িকা বলেন, আমাদের শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন এবং শাকিব দুজনই বর্তমানে দেশের বাইরে রয়েছেন। তারা দেশে এলে অভিযোগ নিয়ে বসব আমরা।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার চিত্রায়নের সময় শাকিব খানের বিভিন্ন কর্মকা-ের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিয়ে প্রযোজক রহমত উল্লাহ অভিযোগ করেছেন। 

অভিযোগপত্রে দাবি করা হয়, শুটের সময় শাকিবকে নিয়মিত পতিতালয়ে নিয়ে যেতে হতো, আর তা না হলে তার হোটেল কক্ষে অস্ট্রেলিয়ান যৌনকর্মীদের নিয়ে আসতে হতো। এ ব্যাপারটি ছিল প্রতিদিনের রুটিন। কখনো কখনো একাধিকবার। এসব যৌনকর্মীর মোটা অঙ্কের পারিশ্রমিক আমাদেরই দিতে হতো। 

সহপ্রযোজককে ধর্ষণের অভিযোগ এনে অস্ট্রেলিয়ায় একটি মামলাও করা হয়, যার মামলা নম্বর:

২০১৭ সালে ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ ছবির শুটিং চলাকালীন শাকিব খান দ্বারা যেসব ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন, তার একটি তালিকা উল্লেখ করেছেন এই প্রযোজক। তা হলো―
 
১. আমাদের পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি নেওয়া সত্ত্বেও কোনো রকমের পূর্বঘোষণা ছাড়াই শুটিং বাতিল করে দিতেন।
 
২. তার খাদ্যাভ্যাসজনিত চাহিদা ছিল এমন যে হঠাৎ করে তিনি অদ্ভুত রকমের খাবার খেতে চাইতেন, আর তাতেই পুরো শুটিং ইউনিট নিয়োজিত হতো তার পছন্দের খাবার খুঁজে বের করার জন্য। এতে করে শুটিংয়ের কাজে যেমন ব্যাঘাত হতো, তেমনি চলচ্চিত্রের নির্মাণ ব্যয় নিয়ন্ত্রণহীনভাবে বেড়ে গিয়েছিল।
 
৩. তিনি শুটিং করতে আসতেন নিজের ইচ্ছামতো সময়ে। অনেক সময় এমন হতো যে অত্যন্ত ব্যয়বহুল সেট বানিয়ে আমরা তার জন্য অপেক্ষা করতাম। তিনি হয়তো শেষ বেলায় দুই-এক ঘণ্টা অভিনয় করার জন্য আসতেন। এভাবে শুটিং না করেও সবার বেতন দিয়ে আমরা শুধু অপেক্ষা করতাম তিনি আসবেন বলে।
 
৪. এখন বর্ণনা দিচ্ছি তার ব্যয়বহুল যৌনাচারের। তাকে নিয়মিত পতিতালয়ে নিয়ে যেতে হতো, আর তা না হলে তার হোটেলকক্ষে অস্ট্রেলিয়ান যৌনকর্মীদের নিয়ে আসতে হতো। এই ব্যাপারটি ছিল প্রতিদিনের রুটিন। কখনো কখনো একাধিকবার। এই সব যৌনকর্মীদের মোটা অঙ্কের পারিশ্রমিক আমাদেরকেই দিতে হতো।
 
৫. একবার তিনি আমাদের একজন নারী সহ-প্রযোজককে কৌশলে ধর্ষণ করেন। ভুক্তভোগী এই নারীকে তিনি অত্যন্ত পৈশাচিকভাবে নির্যাতন করেন। গুরুতর জখমসহ রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছিল। নির্যাতিতা তখন এ ব্যাপারে অস্ট্রেলিয়ান পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। নির্যাতিতা নিজেও একজন বাংলাদেশ বংশোদ্ভূত নারী। আমি সেই ফৌজদারি অভিযোগের সাক্ষী ছিলাম। এই ঘটনার পর তিনি এবং তার পরিবার সামাজিকভাবে যেই গ্লানি এবং কুৎসার স্বীকার হন, তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। ধর্ষণের বিচার চাইতে গিয়ে একটা পর্যায়ে তার নিজের এবং তার পরিবারের টিকে থাকাটাই অসম্ভব হয়ে পড়ে। ওই দিন আমরা যখন সহকর্মীকে নিয়ে হাসপাতালে ব্যস্ত, শাকিব খান সেদিন কাউকে কিছু না জানিয়ে অস্ট্রেলিয়া থেকে চুপিসারে চলে যান।

ডিএস/এসএম




ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন





সর্বশেষ সংবাদ  
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত  
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মিরাজুল ইসলাম
৭৯/২, নাজিরাবাজার লেন, বংশাল, ঢাকা-১০০০, বাংলাদেশ।
ফোন: ৮৮-০২-৪৭১২১১১১, ০১৯৭৪-৫৬৪৯৮৭, ই-মেইল : dhakastate.news@gmail.com
কপিরাইট © ঢাকা স্টেট সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft